প্রতিষ্ঠান পরিচিতি: শিক্ষায় বিশ্বমান স্পর্শ করা এবং আমাদের শিক্ষার্থী প্রত্যেকে ভালাে ও সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তােলার লক্ষ্যে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষা প্রদানের ব্রত নিয়ে ২ জানুয়ারি ২০১৪ সালে ৩.৮৩ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক নান্দনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। একটি দক্ষ পরিচালনা পর্যায়ের দূরদর্শী দিক নির্দেশনায় নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন যাত্রা। বর্তমানে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৭৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এখন ২৪টি ক্লাবের মাধ্যমে সহশিক্ষা কার্যক্রমের পরিচর্যা করা হয়। প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র: “শেখো-সৃজন করো-নেতৃত্ব দাও” প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে অর্জিত জ্ঞানের আলােয় আলােকিত হবে শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন, সৃজন উৎসবে মেতে উঠে নেতৃত্বের নব আলােক ধারায় বির্নিমাণ করবে নতুন বিশ্ব।
Read More
প্রতিষ্ঠানের অর্জনসমূহ:
১। পাবলিক পরীক্ষাসমূহে ফলাফল ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে চ্যাাম্পিয়ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেনাবাহিনী প্রধান ট্রফি অর্জন করে ও ২০১৭ সালে প্রথম রানার আপ হয়ে সেনাপ্রধান ট্রফি অর্জন করে।
২। এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে বৃহত্তর মিরপুর থানার ৩০টি কলেজের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে।
৩। আন্ত:ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক সংসদীয় বির্তক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
৪। ২০১৮ সালের প্রতিষ্ঠানের ম্যাগাজিন ‘দীপান্বিতা’ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করে।
৫। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে।
৬। স্বল্প সময়ের পথ পরিক্রমায় মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ প্রথম সারির পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
শিক্ষাউন্নয়ন মূলক প্রজেক্টসমূহ:
১। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম
২। সেন্ট্রাল সাউন্ড সিস্টেম
৩। ই-লাইব্রেরি
৪। বিভিন্ন ফ্লোরে থিম ভিত্তিক গ্যালারি নির্মাণ
৫। ক্লাসরুমের দেয়াল ও সিড়িগুলো শিক্ষামূলক উক্তি দ্বারা শোভিতকরণ
৬। শিক্ষার্থীদের অশোভন আচরণ ও উক্তি প্রতহিত করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে এন্টিবুলিং প্রজেক্ট।
৭। শিক্ষার্থীদের জড়তামুক্ত ও আন্তবিশ্বাসী করে গড়ে তোলার জন্যে চালু করা হয়েছে ওরাসি কার্যক্রম।
৮। শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার্থীদের মনের খোলা জানালা হিসেবে ভূমিকা রাখছে আইডিয়াপ্যাড কর্মসূচি।
৯। মাশরাফি, হায়দার, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মত স্বপ্ন বাজদের এনে অনুপ্রেরণা উজ্জীবিত করা হয় শিক্ষার্থীদের।
অনুকরণীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা:
১। বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীরা এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে আসেন।
২। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রতিষ্ঠানের উচ্ছসিত প্রশংসা করে বলেছেন এশিয়ার মধ্যে এটি একটি সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
৩। ভারতের ব্যরাকপুরের শিক্ষা প্রতিনিধি দল এ প্রতিষ্ঠানকে জ্ঞানের মিউজিয়াম বলেছেন।
১। ভবনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন: মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পঞ্চম তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল বিশিষ্ট ভবন। বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে ভবনটিকে সপ্তম তলায় উন্নীত করা হয়েছে।
২। নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণ: প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন লো-কস্ট কোয়াটার ভেঙ্গে নতুনভাবে নিরাপত্তা দেয়াল তৈরি করা হয়েছে।
৩। অডিটোরিয়াম তৈরি ও মুক্তাঙ্গন গ্যালারি প্রস্তুত: শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পন্ন করার জন্যে প্রতিষ্ঠানের এলাকায় মুক্তাঙ্গন নামে এক স্থায়ী গ্যালারি নির্মাণ করা হয়েছে।
৪। অডিটোরিয়াম এলইডি ডিসপ্লে সংযোজন: নবনির্মিত অডিটোরিয়ামে এলইডি ডিসপ্লে সংযোজন করা হয়েছে। শিক্ষা বিনোদনের এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে।
৫। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ও ১নং গেইটে এলইডি মনিটর স্থাপন: প্রতিষ্ঠানের ভেতরের ১নম্বর গেইটে এলইডি মনিটর স্থাপন করা হয়েছে।
৬। থ্রি-ডি প্রজেক্টর: শ্রেণি কার্যক্রমকে চিত্তাকর্ষক করার জন্যে থ্রি-ডি প্রজেক্টর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
৭। নতুন মাঠ তৈরি: লো-কস্ট কোয়াটার উচ্ছেদ করে মাটি ভরাট করে মিনি প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছে।
৮। ৩নং গেইট থেকে ওয়াক-ওয়ে তৈরি: প্রতিষ্ঠানের ৩নং গেইট থেকে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হয়েছে।
৯। সাব-পাওয়ার স্টেশন তৈরি: প্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সরবরাহ করার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী সাব-স্টেশন তৈরি করা হয়েছে।
১০। ফ্লোরভিত্তিক গ্যালারি তৈরি: প্রতিষ্ঠানের ভবনটি ৬ষ্ঠ ও ৭ম তলায় উন্নীত করে ফ্লোরগুলো শিক্ষাপোকরণে সমৃদ্ধ বিভিন্ন গ্যালারিতে সজ্জিত করা হয়েছে।
১১। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন লিফ্ট সংযোজন: প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য লিফ্ট সংযোজন করা হয়েছে।
১২। প্রতিষ্ঠানের বর্ধিত অংশে সিসিটিভি স্থাপন ও পূর্বের সিসিটিভি-র হাই কনফিগারেশনে পরিবর্তন: প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারিত অংশের নিরাপত্তা বিধানের জন্যে নতুন করে সিসিটিভি সংযোজন করে হাই কনফিগারেশনে উন্নীত হয়েছে।
১৩। নতুন শিক্ষক রুম তৈরি ও পুরাতন শিক্ষক রুম বর্ধিতকরণ: প্রতিষ্ঠানে নবনিযুক্ত শিক্ষক যোগদান করায় তাঁদের জন্যে নতুন শিক্ষক লাউঞ্জ তৈরি করা হয় এবং পুরাতন শিক্ষক লাউঞ্জটি সংস্কার করা হয়েছে।
১৪। সেকশন বৃদ্ধিকরণ: প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি শ্রেণিতে শাখা বৃদ্ধির নিমিত্তে প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হয়।
১৫। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ: প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্যে শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে।
১৬। শেখ রাসেল কর্নার স্থাপন: ২০২১ সাল হতে প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর দিনটিকে জাতীয়ভাবে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিতে শেখ রাসেলের জীবন গ্রন্থ সংবলিত একটি ‘রাসেল কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে।
১৭। প্রতিষ্ঠানের বার্ষিকী "দীপান্বিতা" ২০২১ বাংলাদেশের ৪২ টি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল কলেজ সমূহের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
১৮। সকল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের মধ্যে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২১ সালের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার গৌরব অর্জন।
Read More
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে চ্যাাম্পিয়ন হিসেবে সেনাবাহিনী প্রধান ট্রফি ২০২১ অর্জন
আন্তঃক্যান্ট পাবলিক বির্তক প্রতিযোগিতা-২০১৭ এ কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ান