প্রতিষ্ঠান পরিচিতি: শিক্ষায় বিশ্বমান স্পর্শ করা এবং আমাদের শিক্ষার্থী প্রত্যেকে ভালো ও সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষা প্রদানের ব্রত নিয়ে ২ জানুয়ারি ২০১৪ সালে ৩.৮৩ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক নান্দনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। একটি দক্ষ পরিচালনা পর্যায়ের দূরদর্শী দিক নির্দেশনায় নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন যাত্রা। বর্তমানে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪০০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এখন ২৪টি ক্লাবের মাধ্যমে সহশিক্ষা কার্যক্রমের পরিচর্যা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র: “শেখ-সৃজন কর-নেতৃত্ব দাও”- প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে অর্জিত জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হবে শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন, সৃজন উৎসবে মেতে উঠে নেতৃত্বের নব আলোক ধারায় বির্নিমাণ করবে নতুন বিশ্ব।
প্রতিষ্ঠানের অর্জনসমূহ:
১। পাবলিক পরীক্ষাসমূহে ফলাফল ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম রানার আপ হয়ে সেনাপ্রধান ট্রফি অর্জন করে।
২। এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে বৃহত্তর মিরপুর থানার ৩০টি কলেজের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে।
৩। আন্ত:ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক সংসদীয় বির্তক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
৪। ২০১৮ সালের প্রতিষ্ঠানের ম্যাগাজিন ‘দীপান্বিতা’ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করে।
৫। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অসামান্য সাপল্য অর্জন করেছে।
৬। স্বল্প সময়ের পথ পরিক্রমায় মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ প্রথম সারির পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
শিক্ষাউন্নয়ন মূলক প্রজেক্টসমূহ:
১। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম
২। সেন্ট্রাল সাউন্ড সিস্টেম
৩। ই-লাইব্রেরি
৪। বিভিন্ন ফ্লোরে থিম ভিত্তিক গ্যালারি নির্মাণ
৫। ক্লাসরুমের দেয়াল ও সিড়িগুলো শিক্ষামূলক উক্তি দ্বারা শোভিতকরণ
৬। শিক্ষার্থীদের অশোভন আচরণ ও উক্তি প্রতহিত করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে এন্টিবুলিং প্রজেক্ট।
৭। শিক্ষার্থীদের জড়তামুক্ত ও আন্তবিশ্বাসী করে গড়ে তোলার জন্যে চালু করা হয়েছে ওরাসি কার্যক্রম।
৮। শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার্থীদের মনের খোলা জানালা হিসেবে ভূমিকা রাখছে আইডিয়াপ্যাড কর্মসূচি।
৯। মাশরাফি, হায়দার, মুক্তিযোদ্ধাদের মত স্বপ্ন বাজদের এনে অনুপ্রেরণা উজ্জীবিত করা হয় শিক্ষার্থীদের।
অনুকরণীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা:
১। বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীরা এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে আসেন।
২। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও কায়কোবাদ প্রতিষ্ঠানের উচ্ছসিত প্রশংসা করে বলেছেন এশিয়ার মধ্যে এটি একটি সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
৩। ভারতের ব্যরাকপুরের শিক্ষা প্রতিনিধি দল এ প্রতিষ্ঠানকে জ্ঞানের মিউজিয়াম বলেছেন।